মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম চট্টগ্রাম বাঁশখালী প্রতিনিধি।
/ ১৫
বার দেখা হয়েছে
আপডেট :
সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫
শেয়ার করুন
মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম চট্টগ্রাম বাঁশখালী প্রতিনিধি
চট্টগ্রামে বাঁশখালীতে মোঃ আলী আহমদ নামের এক সিএনজি চালক অপহরণের ঘটনায় দুজনের জামিন না মঞ্জুর করেন জেল হযরতে প্রেরণ করেছেন বাঁশখালীর সিনিয় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত।
গত বুধবার উপজেলা কালীপুর ইউনিয়নের গুনাগারি সিএনজি স্টেশনে এই ঘটনা ঘটে। মামলা এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার উপজেলার কালিপুর ইউনিয়নের গুনাগরি সিএনজি স্টেশনের থেকে রাত ৯ টার দিকে স্থানীয় মোঃ আক্কাস জহিরুল ইসলাম সিরাজুল ইসলামসহ ৬/৭ জন স্থানীয় সিএনজি ড্রাইভার মোঃ আলী আহমেদ অপহরণ করে নিয়ে যায়।
অপহরণের খবর পেয়ে সিএনজি চালক আলী আমাদের স্ত্রী রোকসানা আক্তার বাঁশখালী পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা নেন। পর দিন বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়ও পুলিশের সহযোগিতায় সাতকানিয়া বাঁশখালী সীমান্ত পাহাড় থেকে তাকে উদ্ধার করে। এ বিষয়ে এজাহান নামিয়েও ছয়জনেরসহ অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে নাম উল্লেখ করে তার স্ত্রী রোকসানা আক্তার বাদী হয়ে একটি বাঁশখালী থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে। রোববার ওই অপহরণ মামলার অভিযুক্ত আসামি সিরাজুল ইসলাম ও মিজান বাঁশখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট আদালতে জামিনের প্রার্থনা করলে আদালত জামিন নামজুর করে জেলহাতে প্রেরণ করে।
বাঁশখালী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জিআরও মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন জানান, উপজেলার সিএনজি ড্রাইভার অপহরণের ঘটনায় তিনজন জামিনের প্রার্থনা করলে রিমা আক্তারের জামিন মঞ্জুর করলেও সিরাজ ও মিজান নামে দুই ব্যক্তির জামিন নামঞ্জুর করে আদালত তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
আলী আহমদ স্ত্রী রোকসানা আক্তার বলেন, আমার স্বামী সিএনজি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে গত বুধবার রাতে গুনাগারী স্থল সিএনজি স্টেশন থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। গুনাগরী কাটা পাহাড় নামক নির্জন স্থানে জঙ্গলের ভিতর নিয়া পাহাড়ী গাছের লতা দিয়া হাত-পা বাঁধিয়া অন্যায়ভাবে আটকে রাখে। এসময় আমার আমার স্বামীর মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেন।আমার স্বামীর একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল সেট, মূল্য অনুমান ৪৮,০০০/- (আটচল্লিশ হাজার) টাকা যাহাতে সিম নম্বর ০১৯৩৫৪০৯৯৭৩ এবং ১নং আসামী আমার স্বামীর শার্টের পকেটে থাকা নগদ ১৪,০০০/- (চৌদ্দ হাজার) টাকা নিয়ে যায়। আমার স্বামীর অধিক রক্তক্ষরণে অজ্ঞান হইয়া পড়িলে আসামীরা আমার স্বামীকে মৃত ভেবে ঘটনাস্থলে ফেলে চলিয়া যায়।