কলমে ✑ মাহমুদুল হাসান শান্ত
আমি: হে নভেম্বর, তুমিতো এসে গেলে!
কেন এমন নরম হাওয়া আনো বুকে মেলে?
নভেম্বর: আমি আসি শান্তির গান গেয়ে,
ধানের মাঠে সোনালি ঢেউ বয়ে দিয়ে।
আমি: শিশিরে ভেজা ভোরে, পা রাখি নরম ঘাসে,
মন চায় হারিয়ে যেতে তোমার নিঃশব্দ বাতাসে।
নভেম্বর: তাই তো তোমার গ্রামের মাটিতে রাখি ঠান্ডা চাদর,
তুমি যেন হেঁটে যাও, তৃপ্তি মাখা ভোরের ভেতর।
আমি: গরম চায়ের কাপে উঠা ধোঁয়াটুকু কেন এত প্রিয় লাগে?
মায়ের ডাকে সকালটা কেন হৃদয়ে বাজে?
নভেম্বর: ওই ধোঁয়ায় মিশে আছে ঘরের উষ্ণতা,
মায়ের ডাকে থাকে শান্ত জীবনের ব্যাখ্যা।
আমি: বিকেলে দেখি উঠোনে ধান শুকায়,
শিশুরা হাসে, কেউ ঘুড়ি ওড়ায়।
তুমি কি ওদেরও গল্প শোনাও?
নভেম্বর: হ্যাঁ, আমি বাতাসে ওদের হাসি ভাসাই,
ধানের গন্ধে মিশিয়ে দিই মাটির আসাই।
আমি: সন্ধ্যায় পুকুরপাড়ে কুয়াশা নামে ধীরে,
বাতাসে বাজে সাঁঝের বাঁশি নীলে নীলে ঘিরে।
তুমি কি তখন বিশ্রাম নাও?
নভেম্বর: না রে, আমি তখন তারা গুনি আকাশজুড়ে,
তোমার মাটির ঘরে পাঠাই শান্তির আলো ঘুরে।
আমি: রাত হলে দেখি জোনাকিরা জ্বলে,
তুমি কি ওদের আলোর সুরে কথা বলো চলে?
নভেম্বর: হ্যাঁ, ওদের দিয়েই লিখি তোমার গ্রামের কবিতা,
যেখানে আছে কুয়াশা, চুলার ধোঁয়া, আর ভালোবাসার স্নিগ্ধতা।
আমি: আহা নভেম্বর, তুমি আসলেই অন্যরকম,
তোমার ছোঁয়ায় মন হয় কোমল, অচেনা, নিরবতাসম।
নভেম্বর: আমি আসি প্রতি বছর তোমার স্বপ্ন জাগাতে,
গ্রামের বুকের সৌরভে তোমার হাসি ফোটাতে।